হরতালে ঢাকার কোথাও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মহাখালী, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার প্রভৃতি এলাকার সড়কে সকালে বাস, মিনিবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। সকালের দিকে যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। গণপরিবহনে যাত্রীর সংখ্যাও ছিল কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে থাকে।
গাবতলী এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বক্সে দায়িত্বরত সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর জানামতে, এই এলাকায় কোনো পিকেটিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ঢাকার বাইরে বাস যাচ্ছে। বাইরে থেকেও বাস আসছে।
গাবতলী বাস টার্মিনালে হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার সাগর আহমেদ জানান, সকালে তাঁদের বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যাত্রী পাওয়া গেলে সারা দিনই বাস চলবে।
ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে আটটায় তাঁদের বাস নড়াইলের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বাসে যাত্রী স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।
ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রীবাহী বাস আসছে বলে জানান গাবতলী বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের কর্মকর্তারা।
আজকের হরতালে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকায় বাস-মিনিবাসের চলাচল অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে দূরপাল্লার পথে বাস চালানোর কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
রাজনীতি থেকে আর ও পড়ুন।
0 Comments